শিরোনাম
বিটিভির ডিজি, জিএম, পিএম(সংগীত) সিন্ডিকেটের অডিশন বাণিজ্যের কোটি কোটি টাকা লেনদেনের ফোন আলাপ ফাঁস : ভুয়া বিল-ভাউচারে শিল্পী সম্মানির ১৩.২৮ কোটি টাকা গায়েব হরিরামপুরে যুবলীগ নেতার ওপর হামলায় মামলা দায়ের হরিরামপুরে যুবলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত রফিকের প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে ‘মিথ্যাবাদী’ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের শ্রদ্ধা নিবেদন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী তানজিদ উল্লাহ প্রধান লিল্টুর গণসংযোগ আধুনিক উপজেলা রুপান্তরিত করতে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম মোল্লা সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১০ মে প্রধানমন্ত্রী কে অভিনন্দন বাংলাদেশ হিউম্যানরাইটস ফাউন্ডেশন ইত্তেফাকে যোগদান করলেন দীপংকর দীপক
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন
add

বিটিভির ডিজি, জিএম, পিএম(সংগীত) সিন্ডিকেটের অডিশন বাণিজ্যের কোটি কোটি টাকা লেনদেনের ফোন আলাপ ফাঁস : ভুয়া বিল-ভাউচারে শিল্পী সম্মানির ১৩.২৮ কোটি টাকা গায়েব

রিপোটারের নাম / ২৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪
add

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিল্পী, নাট্যকার, গীতিকার, পান্ডুলিপি রচয়িতা ও কলাকুশলী তালিকাভুক্তি এবং গ্রেডেশন নির্ধারণ সংক্রান্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ অনুমোদিত নীতিমালা লংঘন করে ১৭১৯ জন শিল্পীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে প্রচুর এবং অর্থের বিনিময়ে বহু শিল্পীকে তালিকাভুক্ত করা মোবাইল ফোন আলাপ ফাঁস হয়েছে। মহাপরিচালক, উপ-মহাপরিচালক (বার্তা), জেনারেল ম্যানেজার এবং পিএম (সংগীত) ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে এই কেলেঙ্কারির অডিশন সম্পন্ন করেছেন বলে অনেকেই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের দাবি করছেন।

অ‌ডিও ফাস

 

এদিকে, ঢাকা কেন্দ্রের সাময়িক চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মোছা: মাহফুজা আক্তারের বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগে গঠিত কয়েকটি তদন্ত কমিটির এক কমিটি ইতোমধ্যে শিল্পী সম্মানির ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে উত্তালন করে গায়েব করা হয়েছে মর্মে প্রমাণ পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে । অন্যদিকে, আরো অভিযোগে মাহফুজা আক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর ২টি তদন্ত চলমান রয়েছে। জিএম মাহফুজা আক্তার কর্তৃক শিল্পীদের ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ তদন্ত কমিটিতে প্রমাণিত হওয়ার পরেও ডিজি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কিংবা এখনো স্বপদে বহাল থাকায় জিএম আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে বিটিভিতে চরম অসন্তোষ এবং উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনের ঠিক পূর্বে তড়িঘড়ি করে নীতিমালা লঙ্ঘনের মাধ্যমে লোক দেখানো কমিটি গঠন করে ইতিহাসের বিরল কেলেঙ্কারির এই অডিশনে রবীন্দ্র সঙ্গীতে ৩৪০, নজরুল সঙ্গীতে ৩১১, পল্লীগীতিতে ৫৯৬ এবং আধুনিক গানে ৪৬৭ সর্বমোট ১৭৯১ জন শিল্পীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যে শিল্পীগণ ইতোপূর্বে ঢাকা কেন্দ্র এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অডিশনে বারবার ফেল করেছে তাদেরকে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে পাস করা হয়েছে বলে সারাদেশে গুঞ্জন চলছে। বহু শিল্পীকে অর্থের বিনিময়ে যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তা ফাঁস হওয়া ফোনালাপ থেকেই বোঝা যায়।

ফাঁস হওয়া ফোন আলাপ বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, এবারের তালিকাভুক্ত ১৭৯১ জন শিল্পীর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিল্পীর নিকট থেকে গড়ে ৭০ হাজার টাকা করে গ্রহণ করা হলে ৬ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। আর যারা ঘুষ দিয়েও তালিকাভুক্ত হতে পারেননি তাদের পরিমাণ আনুমানিক ২ কোটি টাকা। সব মিলে ৮ কোটি টাকার অডিশন কেলেঙ্কারি যা বিটিভির ইতিহাসে বিরল। এবারে পুরো অডিশনের দায়িত্বে ছিলেন মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, ঢাকা কেন্দ্রের সাময়িক চলতি দায়িত্বের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (সংগীত) মোহাম্মদ মোল্লা আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) মো. আতাউর রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) সাহারিয়ার মোহাম্মদ হাসান, নিয়ন্ত্রক (ডিজাইন) মো. সেলিম এবং যন্ত্রশিল্পী সুমন রেজা খান। তারা সকলেই সশরীরে উপস্থিত থেকে অডিশন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এদিকে ফাঁস হওয়া ফোন আলাপে জাহাঙ্গীর সুস্পষ্ট করে একটি সিন্ডিকেটের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেছেন। সুতরাং বিটিভির ইতিহাসে এই ৮ কোটি টাকার অডিশন কেলেঙ্কারি ঘটনায় জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিটিভির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিল্পী বৃন্দ।

সূত্র আরও জানায়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ অনুমোদিত নীতিমালায় কে কোন ক্যাটাগরিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে অথচ এই অডিশনে নীতিমালা লংঘন করে লোক দেখানো কমিটি গঠন করা হয়েছে। আবার এমন কমিটি হয়েছে যে, কমিটির সদ্যস্যের মধ্যে পত্র বিতরণ করা হয়নি; এমনকী অনেক সদস্য অডিশন সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

এই কেলেঙ্কারীর অডিশনে ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ উপ-মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান)-এর দায়িত্বকালে পদবী ধরে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার পদবী পরিবর্তনের পরেও উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে নীতিমালা লংঘন করে অডিশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নীতিমালা অনুসারে সংগীতশিল্পী অডিশনে উপমহাপরিচালক (বার্তা)-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করার কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে তাসমিনা আহমেদ ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে যে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তার অবর্তমানে পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) দায়িত্ব পালন করার কথা কিন্তু তা না করে এখানেও নীতিমালা লংঘন করে সাময়িক চলতি দায়িত্বের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধান কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম ম্যানেজার (সঙ্গীত) মোহাম্মদ মোল্লা আবু তৌহিদ আপাদমস্তক একজন দুর্নীতিবাজ এবং বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি মহাপরিচালককে বারংবার জানানো হয়েছে কিন্তু মহাপরিচালক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বরং তাকে আরো প্রমোট করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কয়েকমাস পরপর গাড়ি চেঞ্জ করেন। রাজধানীর আফতাব নগরে কয়েকটি প্লট এবং ফ্ল্যাট কিনেছেন। এর আগেও মোল্লা তৌহিদের বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ হয়েছে, অনেকে লিখিত দিয়েছেন কিন্তু মহাপরিচালক তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাকে প্রমোট করেছেন এবং এখনো করছেন। আরও উল্লেখ করা জরুরি যে, মোল্লা আবু তৌহিদ এবং মাহফুজা আক্তার প্রোগ্রাম ম্যানেজারের পদে পদোন্নতির সময়ে রাজনৈতিক কারণে তাদের পদোন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়।

২০১৯ সালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোল্লা আবু তৌহিদ বাগেরহাটে রামপাল কলেজে অধায়নকালে প্রথমে ছাত্রশিবির এবং পরবর্তীতে ১৯৯১-৯২ সালে একই কলেজের ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এবং তার পরিবার আপাদমস্তক বিএনপি এবং জামাতের। একইভাবে মাহফুজা আক্তারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধায়নকালে প্রথমে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা এবং পর্বতীতে ছাত্রদল করে বহু সুবিধা নিয়েছেন। এ রকম এনএসআই-এর স্পর্শকাতর রিপোর্ট থাকার পরও এই আওয়ামী লীগের আমলে এক বছরের মধ্যে তাদের পদোন্নতি সবাইকে বিস্মিত করে তোলে!

সূত্র আরও জানায়, মোল্লা আবু তৌহিদের একান্ত সহযোগী বাদ্যযন্ত্রী সুমন রেজা খান প্রায় সময় নারী শিল্পীকে তৌহিদের রুমে নিয়ে যান। এখানে অনৈতিক প্রস্তাব দেন, রাজি না হলে বিটিভির সমস্ত প্রোগ্রাম থেকে বাদ পড়ে যাবে বলে হুমকি দেন। তৌহিদ এবং সুমনের এই অপকর্মের জন্য প্রায় এক বছর সুমনকে সকল অনুষ্ঠান থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

এমনইভাবে তৌহিদের বিরুদ্ধে গত ৭ সেপ্টেম্বর  ২০২৩ তারিখে তাযকিয়া ফারহা সেঁজুতি নামে একজন শিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী জিএম মাহফুজা আক্তার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু লোকে বলে চোরে চোরে মাসিতো ভাই কিংবা চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি। জিএম মাহফুজা আক্তার এবং মোল্লা আবু তৌহিদ উভয়েই প্রমাণিত বিএনপি এবং জামাতের। রাজনৈতিকভাবে একই ঘরনার হওয়ায় এ রকম বহু শিল্পী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ দাখিল করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন বিচার পাননি। আবার অনেক শিল্পীই আছেন যারা ভয়ে এবং প্রোগ্রাম না পাওয়ার চিন্তায় অভিযোগ করছেন না।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্বেও মোল্লা আবু তৌহিদ গড়ষষধ অনঁ ঞধঁযরফ (গঅঞ) নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন যার সার্বিক কার্যক্রম দেখভাল করেন যন্ত্রশিল্পী সুমন রেজা খান। এই ইউটিউব চ্যানেলে বিটিভির অনেক অনুষ্ঠান চুরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোল্লা তৌহিদ।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পানি নিচের দিকেই গড়ায়। সুতরাং ডিজি, ডিডিজি(বার্তা), জিএম, পিএম (সংগীত) তৌহিদ, আতাউর, সাহারিয়ার, সেলিম এবং যন্ত্রশিল্পী সুমন রেজা খানদের হয়তো বিচার না হয়ে শুধুমাত্র জাহাঙ্গীর ফেঁসে যাবে কিন্তু এতো স্বাধীন বাংলাদেশ? জাতির পিতা এবং তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সোনার বাংলাদেশ তৈরি করছেন তাতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকলেরই বিচার হওয়া চাই এবং চাই।

সূত্র আরও জানায়, অডিশনের বিশাল অংকের বাজেটকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে অডিশনের কার্যক্রমকে সম্প্রচার করা হচ্ছে। যারা অর্থের বিনিময়ে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং অযোগ্য তাদেরকে আড়ালে রেখে অর্থাৎ তাদেরকে বাদ দিয়ে কিছু শিল্পীর পরিবেশনা কম্পাইল করে প্রতিটি ৫২/৫৪ হাজার টাকার বাজেট দেখিয়ে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।

এমনকি নতুন সেট নির্মাণের নামে ভুয়া বিল ভাউচারে ডিজাইন শাখার লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এর আগেও মাহফুজা আক্তার উল্লেখিত নীতিমালা এবং অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত শিল্পী সম্মানি কাঠামোতে আবৃত্তি শিল্পীদের জন্য “বিশেষ শ্রেণী” কোটা না থাকা সত্ত্বেও নীতিমালা লংঘন করে বহু আবৃত্তি শিল্পীকে “বিশেষ শ্রেণীতে” উন্নীত করে গোপনে তালিকাভুক্তির চিঠি বিতরণ করেছেন।

এদিকে, মহাপরিচালক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে এবং নীতিমালা লংঘন করে তালিকাভুক্তির আগে এবং পরে নিজের ছেলেকে দিয়ে বহু অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। এবারের অডিশনে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে মহাপরিচালক তার ছেলেকে ৪ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করেছেন। অন্যদিকে, মহাপরিচালক প্রধান কার্যালয়ের ১২ তলায় ৮০০০ স্কয়ার ফিট জুড়ে অফিসকে অবৈধভাবে বাসা হিসেবে ব্যবহার করছেন।

বিটিভির অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যেন পিতা-পুত্রের বিটিভি। বিটিভি খুললেই তার ছেলে। এমনকি বিটিভির ৬০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেখানে বড় বড় এবং গুণী শিল্পীদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়নি সেখানে মহাপরিচালক তার ছেলেকে দিয়ে বেশুরা গান পরিবেশন করে দর্শককে বসে থাকতে বাধ্য করেছেন। এই অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ছিলেন জিএম মাহফুজ আক্তার, পিএম (সংগীত) মোল্লা আবু তৌহিদ এবং কন্ট্রোলার (ডিজাইন) মোঃ সেলিম। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে থার্ড ক্লাস অনুষ্ঠান নির্মাণের মাধ্যমেও তারা ৩৭ লক্ষ টাকা বিভিন্নভাবে খরচ দেখে উত্তোলন করেছেন।

এ বিষয়ে দেশের একজন বিখ্যাত সাংবাদিকের ফেসবুক স্ট্যাটাসসহ কয়েকটি মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে তড়িঘড়ি করে ডিজি, মিসেস ডিজি এবং কো-অর্ডিনেশন অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন বেগতিক অবস্থা গুছিয়ে নেন। প্রচলিত আছে ডিজি, মিসেস ডিজি, জিএম এবং পিএম সঙ্গীতসহ সকল অপকর্মের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ও ডিজির কো-অর্ডিনেশন অফিসার মো. আক্তার হোসেন।

এদিকে, ঢাকা কেন্দ্রের সাময়িক চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মোছা: মাহফুজা আক্তারের বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগে গঠিত কয়েকটি তদন্ত কমিটির এক কমিটি ইতোমধ্যে শিল্পী সম্মানির ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে উত্তালন করে গায়েব করা হয়েছে মর্মে প্রমাণ পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে । কমিটি গত ২৩-০৮-২০২৩ তারিখে মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করলেও অসৎ উদ্দেশ্যে এবং রহস্যজনক কারণে ডিজি এতদিন ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিলেন। তবে সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপার বিষয়ে জাতীয় দৈনিকসহ বহু মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে তড়িঘড়ি করে তদন্ত প্রতিবেদনটি ডিজি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন।

সূত্র জানায়, মাহফুজা আক্তার গত ৪ জানুয়ারি-২০২৩ তারিখে বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের সাময়িক চলতি দায়িত্বের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তার ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবন এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে কয়েকবার সতর্ক করেন। এমনকি দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাত্রা চরমভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তৎকালীন মহাপরিচালক তাকে কৈফিয়ত তলপ করেন ।

এর আগেও মাহফুজা আক্তার বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালনকালেও ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচের নামে লুটপাট করেছেন মর্মে তৎকালীন মহাপরিচালক লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে জানিয়ে দিয়েছেন। তদুপরি মাহফুজা আক্তারের সীমাহীন দুর্নীতির বিষয়টি ওপেন সিক্রেট এবং চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ বিটিভির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়।

তদন্ত কমিটি দীর্ঘদিন কার্যসম্পাদন শেষে গত ২৩-০৮-২০২৩ তারিখে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে মাহফুজা আক্তার ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে শিল্পী সম্মানি কোডে ব্যয় সীমিত না রেখে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনুমোদন গ্রহণ ছাড়াই ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা লোপাট করেছেন মর্মে প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাহফুজা আক্তার বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা এবং ভুয়া তথ্য সরবরাহ করে এ বিশাল অর্থের কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মাহফুজা আক্তার আর্থিক বিধি-বিধান, আদেশ, অনুশাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে এই বিশাল অংকের দুর্নীতি করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) মো: আতাউর রহমানের সক্রিয় সহযোগিতায় এ বিশাল অংকের শিল্পীদের টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির একজন বলেন, বিটিভির এ তদন্তকালে শাস্তিস্বরূপ আতাউর রহমানকে গত ১৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বদলি করা হলেও মাহফুজা আক্তারকে জিএম পদ থেকে সরানো কিংবা বদলি করা হয়নি ফলে তদন্তকালে কেন্দ্র প্রধান হিসেবে তিনি তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মিথ্যা এবং ভুয়া তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে তদন্ত কমিটিকে অসহযোগিতা করেছেন।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে মাহফুজা আক্তার এবং আতাউর রহমান অনেক কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেছেন এবং অনেক ভুয়া বিল-ভাউচার সংযোজন করেছেন; তদুপুরিও ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার কেলেঙ্কারি পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত জরুরী বিষয় যে, গত ১১ জুলাই’২০২৩ তারিখে উল্লেখিত তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। এই বিশাল অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আতাউর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে অর্থাৎ ১৬ জুলাই’২৩ তারিখে আতাউর রহমানকে শাস্তি হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। তদন্ত কমিটি ২৩ আগস্ট’২৩ তারিখে মহাপরিচালক-এর কাছে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। মহাপরিচালক তদন্ত রিপোর্টটি রহস্যজনক কারণে প্রায় ৬ মাস ধামাচাপা দিয়ে নিজের কাছেই ধরে রাখেন।

তদন্ত কমিটির এরকম স্পর্শকাতর রিপোর্ট মহাপরিচালকের হাতে থাকার পরও বিটিভির অডিট চলাকালে মহাপরিচালক গত ০৪-১০-২০২৩ থেকে ১৬-১০-২০২৩ পর্যন্ত আতাউর রহমানকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন মূলত এই ১৩.২৮ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিকে ধামা চাপা দিয়ে “অডিট টিম”কে ম্যানেজ করার জন্য। অর্থাৎ মহাপরিচালক, জিএম এবং অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) একই সূত্রে গাথা আছে বলে সুস্পষ্ট প্রতিীয়মান হয়। অডিট চলাকালে এই সিন্ডিকেট ভয় ভীতি দেখিয়ে অনেক কর্মকর্তার নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে অডিট টিমকে ম্যানেজ করেছেন।

ফলে তদন্ত কমিটির নিকট প্রমাণিত ১৩ কোটি ২৮ টাকার বিষয়টি অডিট টিম এড়িয়ে যান। এখনো অডিট টিমকে নিয়ে সবার মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ এর তদন্ত রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও গত ১৭ জানুয়ারি’২৪ তারিখে মহাপরিচালক তাকে পুরষ্কৃত করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন। বিটিভি সূত্রে জানা যায়, প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আনা হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, এর আগে মাহফুজা আক্তার বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জিএম হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি, অপকর্ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি তদন্ত চলমান রয়েছে। মাহফুজা আক্তার চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে নিজেই প্রযোজক সেজে ৬৩৯ টি অনুষ্ঠান নির্মাণ দেখিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচার এবং নামে-বেনামে প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছেন। একই সাথে তিনি (মাহফুজা আক্তার) এবং নির্বাহী প্রযোজক সফির হোসাইন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম ম্যানেজার রোমানা শারমিনকে অনুপস্থিত দেখিয়ে ৬০,৫৮,৩৪৬/- টাকার চেক নামে বেনামে উত্তোলন করেছেন। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সুজিত রায় (সম্প্রতি গত হয়েছেন) । এরপর দুদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একই বিষয়ে বিটিভির মহাপরিচালককে দায়িত্ব অর্পণ করেন। কিন্তু মহাপরিচালক তদন্ততো করেননি বরং মাহফুজা আক্তারের নিকট থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে তদন্ত করতে পারবেন না মর্মে প্রায় ১০ মাস পর সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করেন। একইভাবে মাহফুজা আক্তার এর বিরুদ্ধে আরো ২ অভিযোগ জমা পরলেও সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বিটিভির মহাপরিচালক ।

সূত্র জানায়, ইতিপূর্বেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাহফুজা আক্তারে বিরুদ্ধে ঔধঢ়ধহ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ ধমবহপু (ঔওঈঅ)-এর অর্থায়নে ঐউঞঠ প্রকল্পের ১৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে তদন্তের জন্য কয়েকবার মহাপরিচালককে পত্র প্রেরণ করেছেন কিন্তু রহস্যজনক কারনে পত্র পত্রই থেকে গেছে। মাহফুজ আক্তার এই প্রকল্পের চউ থাকাকালীন তার স্বামী, বোন, কাজের মেয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনামে ৭ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা আত্মসাথের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এবং বিশাল অংকের বিনিময়ে এই তদন্তটি এখনো আলোর মুখ দেখতে পাইনি।

এখানেও প্রকল্পের অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা-আলাদা বিষয়ে বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা নামে বেনামে উত্তোলন করার পরেও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে অসংখ্য দিন বিটিভির স্টুডিও, ক্যামেরা, গাড়ি এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট গ্রহণ করেছেন এই মাহফুজ আক্তার । একইভাবে বিটিভির রাজস্ব খাৎভুক্ত অনেক অনুষ্ঠান নির্মাণ না করেই বিশাল বিশাল বাজেট উত্তোলন করেছেন। এমনকি অফিস আদেশ এবং প্রচার না করেই “সংবিক্ষণ” নামে বিশাল বাজেটের কয়েকটি পর্ব নির্মাণ দেখিয়ে ৯৮ লক্ষ টাকা অর্থ শাখা থেকে উত্তোলন করেছেন মাহফুজা আক্তার ।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, মাহফুজ আক্তারের পুরো পরিবারই দুর্নীতিগ্রস্ত। বাবা ছিলেন আয়কর অফিসের পিয়ন আব্দুল মান্নান। বাবার সামান্য আয়ে রংপুর শহরের নিউ জুম্মা পাড়ায় ২ রুমের একটি টিনশেড বাসায় মানবেতর জীবনযাপন করতেন মাহফুজারা ৫ বোন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ফাতমী আহমদ রুমী তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের মন্ত্র দেয় আলাউদ্দিনের চেরাগের মতো । একের পর এক চাকরি আর ক্ষমতা দিয়ে পুরো পরিবারকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে এই মাহফুজা আক্তার। ২০০৭ সালে চাকরিতে যোগদান করে প্রযোজক অবস্থায় আইন এবং নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ পন্থায় ও ক্ষমতা প্রয়োগ করে ২৬৫ কোটি টাকার ঐউঞঠ প্রকল্পের চউ হন। বিশাল বেতনে চাকরি দেন ২ বোন, জামাই, কাজের মেয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনদের। নিজ নামে, স্বামী, কাজের মেয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে চেক বানিয়ে লুফে নেন প্রায় ১৭ কোটি টাকা।ঢাকার গুলশান নিকেতন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এবং রংপুরে কয়েকটি জায়গায় নির্মাণ করেন বহুতল ভবন। বোন এবং জামাইদের নামেও ব্যাংকে ঋউজ ১৮ কোটি টাকা ।

সূত্র আরো জানায়, মাহফুজা আক্তারের স্বামী তার কানাডা প্রবাসী ভাই এবং আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে টরেন্টর বাংলা টাউনের ৮ নং রোডে ৩ মিলিয়ন ডলারের একটু বাড়ি কিনেছেন।

সম্প্রতি বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের জিএম মাহফুজা আক্তার কর্তৃক ২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননা, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং ক্ষমতার অপপ্রয়োগের বিষয়ে অসংখ্য গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুর্নীতির দমন কমিশন (দুদক) নড়ে চড়ে বসেছেন। গত ২১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাঈমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিটিভির কাছে অনেক তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন । এ ছাড়াও পর্যায়ক্রমে দুদক বিভিন্ন তথ্য প্রমাণক সংগ্রহ করছেন।

দুদক সূত্র জানায়, মহাপরিচালকের নেতৃত্বে মাহফুজ আক্তার বিটিভিতে দুর্নীতির একটা বলয় তৈরি করেছেন। সহজে তাদের কাছে তথ্য পাওয়া যায় না। পেলেও ভুল তথ্য দিয়ে অসহযোগিতা করছেন।

অন্যদিকে, বিটিভির কর্মকর্তা/কর্মচারীরা মনে করছেন যে, মাহফুজা আক্তার ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল ছবির পার্শ্বে তার ব্যক্তিগত ছবি ঝুলিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিকে অবমাননা, ছাত্রী অবস্থায় ইসলামী ছাত্রী সংস্থা এবং ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীসহ অনেক ধরনের বড় বড় অপরাধ করার পরেও মহাপরিচালক যেহেতু তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি অতএব কয়েকজন বিপথগামী দুষ্কৃতকারী আমলা, রাজনীতিবিদ এবং বিশাল অর্থের বিনিময়ে তিনি এবারও পার পেয়ে যাবেন ।

সূত্র জানায়, নীতিমালা লংঘন করে অর্থের বিনিময়ে বহু শিল্পীকে তালিকাভুক্ত করার ফোন আলাপ ফাঁস এবং এক তদন্তেই প্রমাণিত ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা লুটপাট করায় বিটিভিতে এখন চরম অসন্তোষ এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাষ্ট্রীয় কেপিআই-১ প্রতিষ্ঠানে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিটিভির শিল্পী, কলাকুশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করছেন বিটিভির ইতিহাসে এ ধরনের লুটপাট কখনোই ঘটেনি এবং বিটিভির ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

অন্যদিকে, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ঢাকা কেন্দ্রের শিল্পী সম্মানি খাতে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৬ মাস অনুষ্ঠান নির্মাণ বন্ধ ছিল; এ সময় পুনঃপ্রচার অনুষ্ঠান দিয়ে ট্রান্সমিশন চালানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাকি ৬ মাসের খরচ হবার কথা ৩২.৫ কোটি টাকা কিন্তু বছরের ৯ মাস যেতে না যেতেই শিল্পী সম্মানের চেক বাউন্স হতে শুরু করেছে। তাই অচিরেই ডিজি, ডিডিজি(বার্তা), জিএম, তৌহিদ, আতাউর, সাহরিয়ার, সেলিম এবং জাহাঙ্গীরসহ এসব কেলেঙ্কারির সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার শিল্পী, বিটিভির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।

এসব বিষয়ে তৌহিদ  বলেন যে অডিও ফাস হয়েছে তা নাকি তার নয় বলে মন্তব্য করেন। অনন্যাদের মতামত জানার জন্য বার বার কল ও খুদে র্বাতা দিলেও তারা ফোন জবাব দেননী আর মহা-পরিচালকরে অফিসে বার বার কলদিলে তিনি ফোন থরেননী একবার অফিস সহকারী ফোন ধরে এপিএসএর সাথে কথা বলতে পরার্মশ দেন, এপিএসকে কল দিলে তিনি অফিসে এসে মহাপরিচালকের সাথে কথা বলতে পরার্মশ দেন।

add

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Situs Judi Slot Online

slot demo

Bocoran Admin Jarwo
Slot777
Gates Of Olympus Kakek Zeus x500
Situs Slot777

akun pro malaysia
akun pro jepang

Akun Pro Thailand
Akun Pro Jepang

Akun Pro Jepang
Akun Pro Jepang Gacor
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro

Akun Pro Jepang Gacor
Akun Pro Rusia Gacor
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro

akun pro thailand
akun pro hongkong
akun pro kamboja
akun pro taiwan
akun pro filipina
akun pro malaysia
akun pro myanmar

mahjong ways
pg soft
mega wheel
slot pg soft

Akun Pro Thailand
Akun Pro Malaysia
Akun Pro Jepang
Akun Pro Kamboja
Akun Pro China
Akun Pro Filipina
Akun Pro Rusia
Akun Pro Myanmar
Akun Pro Vietnam
akun pro filipina
akun pro rusia
akun pro myanmar
akun pro vietnam
akun pro filipina
PG Soft
Olympus Slot
Sbobet

daftar akun wso

Situs Judi Slot Online

slot demo

Bocoran Admin Jarwo
Slot777
Gates Of Olympus Kakek Zeus x500
Situs Slot777

akun pro malaysia
akun pro jepang

Akun Pro Thailand
Akun Pro Jepang

Akun Pro Jepang
Akun Pro Jepang Gacor
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro

Akun Pro Jepang Gacor
Akun Pro Rusia Gacor
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro

akun pro thailand
akun pro hongkong
akun pro kamboja
akun pro taiwan
akun pro filipina
akun pro malaysia
akun pro myanmar

mahjong ways
pg soft
mega wheel
slot pg soft

Akun Pro Thailand
Akun Pro Malaysia
Akun Pro Jepang
Akun Pro Kamboja
Akun Pro China
Akun Pro Filipina
Akun Pro Rusia
Akun Pro Myanmar
Akun Pro Vietnam
akun pro filipina
akun pro rusia
akun pro myanmar
akun pro vietnam
akun pro filipina
PG Soft
Olympus Slot
Sbobet

daftar akun wso